ময়ূরাক্ষী – Moyurakkhi By Humayun
- লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
- মূল শিরোনামঃ ময়ূরাক্ষী
- ভাষাঃ বাংলা
- ধারাবাহিকঃ হিমু
- বিষয়ঃ হিমু, মহাপুরুষ।
- ধরনঃ উপন্যাস
- প্রকাশিতঃ ১৯৯০
- প্রকাশকঃ অনন্যা পাবলিকেশন
ময়ূরাক্ষী
হুমায়ুন আহমেদের লেখা হিমু সিরিজের প্রথম বই। এর প্রকাশকাল ১৯৯০ সাল। এই বইয়ের মাধ্যমেই পাঠকরা খুজে পায় অন্য এক স্বাদ এবং অন্যন্য এক চরিত্র। যার নাম হিমু। এই উপন্যাস এর দ্বারা হিমু চরিত্র হয়ে উঠে তুমুল জনপ্রিয়। এটা এতোটাই জনপ্রিয় হয়েছিলো যে, হুমায়ূন আহমেদ বলে দেয় হিমু হওয়ার নিয়ম। তারপর অনেকে নিজেকে হিমুর আদলে থাকার চেষ্টা করে। এ্যাই ছেলে
এ্যাই এই বাক্য দিয়ে শুরু হয় এই উপন্যাস।
ময়ূরাক্ষী উক্তি – Moyurakkhi Quote
নির্লিপ্ততাঃ পৃথীবির সকল মহাপুরুষ এবং মহাজ্ঞানীরা এই জগৎকে মায়া বলিয়া আখ্যায়িত করেছেন – All the Great Man and Great Wiser have considered the earth as an illusion
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
Bangla quotes of Humayun Ahmed
ময়ূরাক্ষী নদীকে একবারই আমি স্বপ্নে দেখি। নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায়। এরপর অবাক হয়ে লক্ষ্য করি কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটা আমি দেখতে পাই। তার জন্যে আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না, চোখ বন্ধ করতে হয় না, কিছু না। একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয়। ঘণ্টার-পর-ঘণ্টা আমি নদীর তীরে হাঁটি। নদীর হিম-শীতল জলে পা ডুবিয়ে বসি। শরীর জুড়িয়ে যায়। ঘুঘুর ডাকে চোখ ভিজে ওঠে।
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
আমি সারাদিন হাটিঁ। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোন শেষ থাকার কথা না।
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
সৃষ্টিকর্তার অনুসন্ধান করিবে। ইহাতে আত্মার উন্নতি হইবে। সৃষ্টি কর্তাকে জানা আর আত্মাকে জানা একই ব্যপার।
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
আরো দেখুনঃ মেয়েদের কষ্টের স্ট্যাটাস
হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক করে হাসে।
ময়ূরাক্ষী – হুমায়ুন আহমেদ
ময়ূরাক্ষী উপন্যাসের কিছু অংশবিশেষ
“এই ছেলে এই”
আমি বিরক্ত হয়ে তাকালাম। আমার মুখ ভর্তি দাড়ি গোঁফ। গায়ে চকচকে হলুদ পাঞ্জাবি,পরপর তিনটা পান খেয়েছি বলে, ঠোঁট এবং দাঁত লাল হয়ে আছে,হাতে সিগারেট। আমাকে “এই ছেলে” বলে ডাকার কোনোই কারণ নাই। যিনি ডাকছেন তিনি মধ্যবয়স্কা একজন মহিলা।চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা, তার সাথে আমার একটা ব্যাপারে মিল আছে তিনিও পান খাচ্ছেন।
আমি বললাম আমাকে কিছু বলছেন..? – তোমার নাম কি টুটুল ? আমি জবাব না দিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রয়েছি,এই মহিলাকে আমি আগে কখনো দেখিনি। অথচ তিনি এমন আগ্রহ করে তাকিয়ে আছেন যে আমি যদি বলি “হ্যাঁ আমার নাম টুটুল” তাহলে ছুটে এসে আমার হাত ধরবেন।কথা বলছো না কেন? তোমার নাম কি টুটুল? আমি একটু হাসলাম । হাসলাম এই আশায় যেন তিনি ধরতে পারেন আমি টুটুল না। হাসিতে মানুষকে সহজেই চেনা যায়, সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেকজন একেক রকম করে হাসে। আমার হাসি নিশ্চয়ই ঐ টুটুলের মত না । আশ্চর্য ব্যাপার ওই ভদ্রমহিলাটা আমার হাসিতে আরো প্রতারিত হলেন।
চোখ মুখ উজ্জ্বল করে বলে উঠলেন, ওমা টুটুল ই তো।ভাবছিলাম তিনি আমার দিকে ছুটে আসবেন, তা না করে ছুটে গেলেন রাস্তার ওপাশের পার্ক করা গাড়ির দিকে। আমি শুনলাম তিনি বলছেন, তোকে বলছি না ওই টুটুল তুই তো বিশ্বাস করলি না। ওর হাটা দেখে আমি চিনে ফেলেছি। কেমন দুলে দুলে হাঁটছে। ড্রাইভার গাড়ি ঘুরিয়ে রাস্তার ওপাশে নিয়ে এলো। ড্রাইভার এর পাশের সিটটা খালি। ভদ্রমহিলা আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন টুটুল উঠে আয়। তাই আমি উঠে পরলাম। বাহিরে চৈত্র মাসের ঝাঁঝাঁ রোদ। আমাকে ফার্মগেট যেতে হবে । বাসে উঠলে মানুষের গায়ের গন্ধে আমার বমি আসে, কাজেই যেতে হবে হেঁটে হেঁটে। খানিকটা লিফট পাওয়া গেলে মন্দ কি, আমি তো আর জোর করে গাড়িতে চেপে বসিনি। তাছাড়া আমার চিন্তার সুতা কেটে গেল। ভদ্রমহিলার পাশে বসে-থাকা মেয়েটি বলল, ‘মা ‘ এ টুটুল ভাই নয়। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ঠিক আগের ভঙ্গিতে হাসলাম। যে হাসি দিয়ে মেয়ের মাকে প্রতারিত করেছিলাম, সেই হাসি দিয়ে মেয়েকে প্রতারিত করার চেষ্টা। মেয়েটা প্রতারিত হলো না। এ যুগের মেয়েদের প্রতারিত করা খুব কঠিন। মেয়েটি দ্বিতীয়বার আগের থেকেও কঠিন গলায় বলে উঠলো, মা, তুমি কাকে তুলেছ.?এ টুটুল ভাই নয়, হতেই পারে না, এ অন্য কেউ। ড্রাইভার বারবার সন্দেহজনকভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি অত্যন্ত ঠাণ্ডা গলায় বললাম, সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালাও, না হলে অ্যাক্সিডেন্ট হবে।
ড্রাইভার আমার গলা এবং কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেল। সম্ভবত তাকে কেউ তুমি করে বলে না। আমার মতো সাজ পোশাকের মানুষ অবলীলায় তাকে তুমি বলছে এটা তার পক্ষে হজম করা কঠিন।মেয়ের মা বলল আচ্ছা তুমি টুটুল না..? না।মেয়েটি কঠিন গলায় বলল, তাহলে টুটুল সেজে গাড়িতে উঠে বসলেন যে.? টুটুল সেজে উঠতে যাব কেন, আপনার মা উঠতে বললেন, তাই উঠলাম। মেয়েটির তীব্র গলায় বলল, ড্রাইভার সাহেব গাড়ি থামান, উনাকে নামিয়ে দিন। যা ভেবেছিলাম তাই, এই ড্রাইভারকে সবাই আপনি করে বলে, ড্রাইভার মনে মনে হয়তো এরকম একটা হুকুমের জন্য অপেক্ষা করছিল। সে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে ফেলল।বড় সাহেব দের মত ভঙ্গিতে বলল, নামুন।গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে দেবে এটা সহ্য করা বেশ কঠিন। তবে এ জাতীয় অপমান সহ্য করা আমার অভ্যাস আছে। আমাকে এবং মজিদকে একবার এক বিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। কনের এক আত্মীয় চিবিয়ে চিবিয়ে বলছিল, জানেন আপনাকে আমরা পুলিশের হাতে হ্যান্ডওভার করতে পারি।ভদ্রবেশী জোচ্চোর কে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় সেটা আমি জানি। সেই অপমানের তুলনায় গাড়ি থেকে বের করে দেয়া তো কিছুই না। ড্রাইভার রুক্ষ্ম গলায় বলল, ব্রাদার নামুন। সূর্যের চেয়ে বালি গরম একেই বলে।আমি ড্রাইভার কে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম, আমি ফার্মগেট যাব। ঐখানে কোন এক জায়গায় নামিয়ে দিলেই হবে। আমরা ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছে না। কোন দিকে যাবেন.? তা দিয়ে আপনার কি দরকার— নামুন বলছি।না নামলে কি করবেন.? আমি এইবার ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে হাসলাম। আমার মনে ক্ষীণ আশা ভদ্রমহিলা বলবে—-এই ছেলে যেখানে যেতে চায় সেখানে নামিয়ে দিলেই তো হয়, এত কথা বলার দরকার কি.?কিন্তু ভদ্রমহিলা তা করলেন না। তিনি অত্যন্ত অপ্রস্তুত বোধ করছেন।
অপরাধী ভঙ্গিতে মেয়ের দিকে তাকাচ্ছেন। সম্ভবত তিনি মেয়েকে ভয় পায়। আজকাল অধিকাংশ মায়েরাই মেয়েদের কে ভয় পায়। ড্রাইভার বলল, নামতে বলছে নামেন না। আমি হুংকার দিয়ে উঠলাম, চুপ ব্যাটা ফাজিল। এক চড় দিয়ে চোয়াল ভেঙ্গে দেবো, চিনিস আমাকে.? চিনিস তুই আমাকে.? ড্রাইভার এর চোখ মুখ শুকিয়ে গেল। বড়লোকের ড্রাইভার এবং দারোয়ান এরা খুব ভীতু প্রকৃতির হয়। সামান্য ধমকাধমকি তে এদের পিলে চমকে যায়। আমার কাঁধে একটা শান্তিনিকেতনি ব্যাগ। অত্যন্ত গম্ভীর ভঙ্গিতে ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে ছোট্ট নোটবুকটি চেপে ধরলাম। ভাব টা এই রকম যেন কোন ভয়াবহ অস্ত্র আমার হাতে। আমি আমি ড্রাইভার দিকে তাকিয়ে শীতল গলায় বললাম,ওই ব্যাটা গাড়ি স্টার্ট দে। আজ আমি তোর বাপের নাম ভুলিয়ে দেবো। ড্রাইভার সাথে সাথে গাড়ি স্টার্ট দিল, এই ব্যাটা দেখছি ভিতুর যম।বারবার আমার ব্যাগটার দিকে তাকাচ্ছে। আমি বললাম, সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালা হারামজাদা, এক্সিডেন্ট করবি। আমি এবার পিছনের দিকে তাকালাম। কড়া গলায় বললাম। আদর করে গাড়িতে তুলে পথে নামিয়ে দেয়া এটা কোন ধরণের ভদ্রতা।.?ভদ্রমহিলা বা তার মেয়ে দুজনেই কোন কথা বলে নাই,।ভয় শুধু ড্রাইভার একা–পাইনি এরা দুজন ও ভয় পাইছে। মেয়েটাকে শুরুতে তেমন সুন্দর মনে হয়নি।
এখন দেখতে বেশ ভালো লাগছে, গাড়ি চড়া মেয়ে গুলা এত সুন্দর হয় কেন.?? তবে এই মেয়েটার গায়ের রঙ আরেকটু ফর্সা হলে ভালো হতো, চোখ অবশ্যই সুন্দর। এমনও হতে পারে ভয় পাওয়ার জন্য সুন্দর লাগছে। ভীত হরিণীর চোখ যেমনটা সুন্দর হয়,ভীত তরুণীর চোখ ঠিক তেমনি সুন্দর হয়। ভয় পেলেই হয়তোবা চোখ গুলো সুন্দর হয়ে যায়। আমি সিগারেট ধরাতে ধরাতে বললাম,গাড়িতে খানিকটা ঘুরব।জাস্ট ইউনিভার্সিটি এলাকাটা একটা চক্কর দিয়ে তারপর যাব ফার্মগেট। কেউ কোনো কথা বলল না। আমি বললাম গাড়িতে কোন গান শোনার ব্যবস্থা নেই.? ড্রাইভার ক্যাসেট দাও তো। ড্রাইভার ক্যাসেট চালু করে দিল, ভাবছিলাম কোন ইংরেজি গান বাজবে। তা না— নজরুল গীত “”হায় মদীনাবাসী প্রেমে ধর হাত মম “ডক্টর অঞ্জলি ঘোষের গাওয়া, গানটা আমার খুবই পছন্দের। রুপাদের বাসায় শুনেছি। গানটা আলাদা এক ধরনের মজা আছে৷ কাওয়ালী কাওয়ালী ভাব। গাড়ি আচমকা ব্রেক কষে থেমে গেল। আমি কিছু বুঝবার আগেই ড্রাইভার হুট করে নেমে গেলো।
তাকে যতটা নির্বোধ ভাবছিলাম দেখা গেছে সে ততটা নির্বোধ নয়। সে গাড়ী থামিয়েছে একজন মোটরসাইকেলে বসে থাকা সার্জেনের গা ঘেঁষে। চোখ বড় বড় করে কি সব বলছে। গাড়িতে অঞ্জলি ঘোষের গানটা চলার কারণে তার কথা শুনতে পারিনি। পুলিশ সার্জেন্ট আমার জানালার কাছে এসে বললো, নামুন তো।আমি নামলাম।দেখি আপনার ব্যাগে কি আছে। আমি দেখালাম।একটা নোটবুক, দুটা বলপয়েন্ট। শিশ ভাঙ্গা পেন্সিল, ৫ টাকা দিয়ে কেনা এক প্যাকেট চিপস। পুলিশ সার্জেন্ট ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে বললেন,আপনি কি এর বিরুদ্ধে কোনো ফরমাল কমপ্লেইন করতে চান.?ভদ্রমহিলা তার মেয়ের দিকে তাকালেন।মেয়েটি বলল, অবশ্যই চাই। আমি জাস্টিস এম. সোবহান সাহেবের মেয়ে। এই লোক আমাদের ভয় দেখাচ্ছিল,মাস্তানি করছিল আপনাদের কমপ্লেইন থানায় গিয়ে করতে হবে আপনারা থানায় যান।-এখন তো যেতে পারবো না,এখন আমরা একটা কাজে যাচ্ছি। কআজ সেরে আসুন, আমি একে রমনা থানায় হ্যান্ডওভার করে দেব।
আসামীর নাম জানেন তো.?না।পুলিশ সার্জেন্ট আমার দিকে তাকিয়ে বলল, এই তোর নাম কি?আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম, যে শুরুতে আমাকে আপনি করে বলছে আর এখন সুন্দরী একটা মেয়ের সামনে তুই করে বলছে!!এই তোর নাম বল।আমি উদাস গলায় বললাম, আমার নাম টুটুল। পুলিশ সার্জেন্ট ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে বলল,ভুল নাম দিচ্ছে- যাইহোক এই নামেই বুকিং হবে।হারামজাদারা ইদানীং সেয়ানা হয়েছে,কিছুতেই কারেক্ট নাম বলবে না। ঠিকানা তো বলবেই না।বিশাল কালো গাড়ি হুশ করে বের হয়ে গেল। ফার্মগেট যাওয়া আমার খুব দরকার– ইন্দিরা রোডে আমার বড়ফুফুর বাসায় দুপুরে খাওয়ার কথা।কিন্ত সার্জেন্ট আমাকে ছাড়বে না। রমনা থানায় চালান করবে বলাই বাহুল্য। জাস্টিস এর নাম শুনছে। বড় কারোর নাম শুনলে এদের হুঁশ থাকেনা।আমি এক প্যাকেট সিগারেট কিনে ফেললাম। হাজতে থাকতে হলে সঙ্গে সিগারেট থাকা ভালো। আমার ধারণা ছিল সার্জেন্ট তার মোটরসাইকেলের পিছনে আমাকে বসিয়ে থানায় নিয়ে যাবে। তা হল না। আজকাল পুলিশ ও আধুনিক হয়েছে।পকেট থেকে ওয়াকিটকি বের করে কি বলতেই পুলিশ জিপ এসে উপস্থিত। একদম হিন্দি মুভির মত। সম্পুর্ন নিজের বোকামির জন্য দাওয়াত খাবার বদলে থানায় যাচ্ছি।
মেজাজ খারাপ হওয়ার কথা। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার মেজাজ খারাপ হচ্ছে না। বরং মজা লাগছে। তবে অঞ্জলি ঘোষের গানের পুরোটা শুনতে পারিনি,এজন্য অবশ্য একটু আফসোস হচ্ছে। ” হায়৷ মদিনাবাসী” বলে চমৎকার টান দিচ্ছিল। থানার ওসি সাহেবের চেহারা বেশ ভালো। মেজাজ ও খুব ভালো,চেইন স্মোকার। ক্রমাগত বেনসন এন্ড হেজেস টেনেই যাচ্ছে। বাজার এখন সত্তর টাকা করে প্যাকেট যাচ্ছে। দিনে তিন প্যাকেট হলে মাসে কত হয়.? দুশো দশ গুনন ত্রিশ, ছয় হাজার তিনশো টাকা। একজন ওসি সাহেব বেতন পান কত মাসে,একফাঁকে জেনে নিতে হবে।
ওসি সাহেব শুরুতে প্রশ্ন করেন ভাব-বাচ্যে। শুরুর কয়েকটি প্রশ্নে জেনে নিতে চেষ্টা করেন আসামি কোন সামাজিক অবস্থানে আছে। তার উপর নির্ভর করে আপনি,তুমি বা তুই ব্যবহৃত হয়।ওসি সাহেব বললেন,কি নাম? চৌধুরী খালেকুজ্জামান, ডাকনাম টুটুল।কি করা হয়.?সাংবাদিকতা করি।কোন পত্রিকায়.?বিশেষ কোনো পত্রিকার সাথে জড়িত নাই। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা।যেখানে সুযোগ পাই ঢুকে পড়ি। টুটুল চৌধুরী এই নামে ছাপা হয়। হয়তো আপনার চোখে পড়েছে। পুলিশের উপর একটা ফিচার করেছিলাম।কি ফিচার..? ফিচারের শিরোনাম হচ্ছে—- একজন পুলিশ সার্জেন্ট এর দিনরাত্রি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে কি করতে হয় তাই ছিল বিষয়। অবশ্য একফাঁকে খুব ড্যমেজিং কয়েকটা লাইন ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। যেমন..?বলেছিলাম এই পুলিশ সার্জেন্ট তার একটি কর্মমুখর দিনে তিন প্যাকেট বেনসন আর হেজেস পান করেন। তিনি জানিয়েছেন টেনশন দূর করতে এটা তার প্রয়োজন। অবশ্যই তিনি খুব টেনশানের জীবন যাপন করেন। এই বাজারে তিনি তিন প্যাকেট করে বেনসন খেলে মাসে ছয় হাজার তিনশো টাকার প্রয়োজন। এখন আমাদের জিজ্ঞাসা তার বেতন কত?
পুরো উপন্যাসটি পরতে ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
Name: Moyurakkhi by Humayun Ahmed (1990)
File size: 8.3 MB
Total Page: 71
More PDF Books Of Humayun Ahmed
- Premer Podaboli প্রেমের পদাবলী– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Premiker Gun প্রেমিকের গুণ– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Prarthona প্রার্থনা– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Prayishchitto প্রায়শ্চিত্ত– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Proloyante প্রলয়ান্তে– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Provuke প্রভুকে– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Probasi প্রবাসী– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Prothom Dekha প্রথম দেখা– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Prottyashar Prohor প্রত্যাশার প্রহর– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Prottyasha Jege Noy প্রত্যাশা জেগে নয়– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Prottasha Chilo Na Kono প্রত্যাশা ছিল না কোনো– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Prititi Aseni প্রতীতি আসেনি– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Protikkhay Protikkhon প্রতীক্ষায় প্রতিক্ষণ– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Protikkhay প্রতীক্ষায়– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Protijogi প্রতিযোগী– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Protidondi প্রতিদ্বন্দ্বী– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Protiti Nisshase প্রতিটি নিঃশ্বাসে– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Pronoyer Songga প্রণয়ের সংজ্ঞা– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Pronoykoutuki Tui প্রণয়কৌতুকী তুই– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman
- Procchonno Ekjon প্রচ্ছন্ন একজন– শামসুর রাহমান Shamsur Rahman