যাচ্ছি প্রতিদিন – শামসুর রাহমান জানো কি কোথায় আছি? আমার নিবাস একটি ঠিকানা শুধু, বলা যায়, ফেলে-যাওয়া কোনো খামে লেখা, তোমার নিকট, তার বেশি নয়। এ-ঘরে আসোনি কোনোদিন, কী রকম ভাবে কাটে বেলা এখানে আমার, পায়চারি করি কতক্ষণ কিংবা চেয়ারে... Read more
যাওয়া যায় – শামসুর রাহমান যখন দাঁড়াও তুমি রাত্তিরে কৃপণ বারান্দায় নিরিবিলি, খোলা আকাশের তারাগুলি বিস্ফারিত চোখে দ্যাখে তোমাকে এবং ভাবে-কে এই মানবী এমন স্বর্গীয় রূপ নিয়ে আছে ধূসর জমিনে? ‘অতিশয়োক্তির অবকাশ নেই’, মেঘ তারাদের কানে-কানে বলে। আমি মেঘ থেকে... Read more
যন্ত্রণা – শামসুর রাহমান আমার ছেলেটা জ্বরে ধুঁকছিলো,জ্বলছিলো তার চোখ দুটো, টকটকে কৃষ্ণচূড়া। কী ভেবে নিলাম ছোট হাত মুঠোর ভিতর আর ছুঁয়ে দেখলাম কপালটা যাচ্ছে পুড়ে, হাঁপাচ্ছে সে এবং মাথার ব্যথায় কাতর খুব। শুকনো ঠোঁট পাখির ছানার দুরু দুরু বুক... Read more
যদিও লোকটা অসুস্থ – শামসুর রাহমান বেশ কিছুদিন হলো, বহুদিন হলো অসুস্থতা চঞ্চুতে রেখেছে বিদ্ধ করে লোকটিকে। এখন সে পড়ে না সংবাদপত্র, কতদিন কবিতার বই সস্নেহে আলতো ছুঁয়ে রেখে দেয়, কখনো হয় না পড়া, মাঝে মাঝে খুব কষ্ট ক’রে একটি... Read more
যদি বদলে দেয়া যেতো – শামসুর রাহমান ১ যদি বদলে দেয়া যেতো নিছক এই ছকবাঁধা জীবন। প্রাতঃকৃত্য, খবরের কাগজ শুঁকে শুঁকে কিছুসময় কাটানো, রুটি-তরকারি, ধোঁয়া-ওগরানো চা, স্বল্পকালীন দরকারি গার্হস্থ্য কথাবার্তা, অফিসে দৌড়ানো, কাজ-অকাজ, আড্ডা, নোংরা টয়লেটে আরশোলা পায়ে-মাড়ানো, মলমূত্রত্যাগ, কায়ক্লেশে... Read more
