প্রভুকে – শামসুর রাহমান প্রভু, শোনো, এই অধমকে যদি ধরাধামে পাঠালেই, তবে কেন হায় করলে না তুমি তোতাপাখি আমাকেই? দাঁড়ে বসে-বসে বিজ্ঞের মতো নাড়তাম লেজখানি, তীক্ষ্ণ আদুরে ঠোঁট দিয়ে বেশ খুঁটতাম দানাপানি। মিলতো সুযোগ বন্ধ খাঁচায় বাঁধা বুলি কুড়োবার, বইতে... Read more
প্রবাসী – শামসুর রাহমান তুইও যাচ্ছিস চ’লে ক্রমশ যাচ্ছিস চ’লে কেমন জগতে। তোর জগতের কোনো সুস্পষ্ট ভূগোল কোনোমতে ত্রঁকে দিতে পারলেও হয়তো বা হতো বোঝাপড়া বড়ো জোর নিজের মনের সঙ্গে। কাফকা অনধিগম্য তোর, ভূতলবাসীর আর্ত অস্তিত্বের উপাখ্যান ওরে তোর তো... Read more
প্রথম দেখা – শামসুর রাহমান তোমাকে প্রথম দেখি মধ্যাহ্নের নিঝুম চৈনিক রেস্তোরাঁয়। অবশ্য এ কথা তুমি করো না স্বীকার। তুমি বলো, আমাদের দেখা হয়েছিল অনেক আগেই কী এক মেলায়। মেলা? শুনে মনে কেমন খটকা লাগে। যদি পৃথিবীকে সুবিশাল কোনো মেলা... Read more
প্রত্যাশার প্রহর – শামসুর রাহমান আমার চাতক-মন সেই কবে থেকে প্রত্যাশার প্রহর কাটায় ধ্যানে, মাঝে মাঝে তার কী খেয়াল হয়, টেলিফোন রিসিভার তুলে বলে যায় এলেবেলে কথা, যদিও ওপারে কেউ নেই শ্রবণের প্রতীক্ষায়। এই খেলা কেন যে মাতিয়ে তোলে আমাকে... Read more
প্রত্যাশা জেগে নয় – শামসুর রাহমান এখন রোদের যৌবনের তাপ নেই, এটাই তো অনিবার্য পড়ন্ত বেলায়। প্রত্যুষের আনকোরা ক্ষণে মাথা ক’রে হেঁটে চলা দীর্ঘকাল ক্লান্তিকেই করে আলিঙ্গন, জানা আছে যুগ যুগান্তের পথচারীদের। এই যে পথিক আমি হেঁটেছি বিস্তর, সে-তো গোধূলি... Read more