
নিয়ত স্পন্দিত – শামসুর রাহমান আমাকে টপ্কে তুমি যাও হে কোথায়? খাও টক কুল ভর সন্ধ্যেবেলা। বই মেলায় যাবে বুঝি আজ বাসন্তী রঙের শাড়ি প’রে? চায়ের দোকানে ব’সে গল্মগুজবের স্রোতে ভেসে-যাওয়া, ফুচ্কা খাওয়া, কখনও একটি দু’টি বই কেনা ফিরতি পথে,... Read more

নিভিয়ে এক ফুঁয়ে – শামসুর রাহমান আকাশ যেন আজ ঠান্ডা ভারী কাঁথা, ময়লা ফুটো দিয়ে মারছে উঁকি তারা; পায় না মনে ঠাঁই ঘরে ফেরার টান, কলিংবেল দিলো ঝাঁকুনি সন্ধ্যাকে। পাশের ঘরে এই কবিকে তাড়াতাড়ি লুকিয়ে রেখে তুমি বিদায় চেয়ে নিলে।... Read more

নিজের নিকট থেকে – শামসুর রাহমান নিজের নিকট থেকে বহুদূরে চলে যেতে চাই- দিনের আড়ালে, রাত্রির ওপরে ভেসে ভেসে যতদূর যাওয়া যায় ততদূর চলে যেতে চাই। এ শহরে ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও বলো না থাকতে কেউ আমাকে, এক্ষুণি আসবাব, বইপত্র,... Read more

নাম ধরে ডেকে যাবো – শামসুর রাহমান একবার বাগে পেলে আমাকে মাটিতে ফেলে যারা আদিম হিংস্রতা নিয়ে খোঁচাবে বল্লমে, নিষ্ঠীবন ছিটোবে বিস্তর মুখে এবং চুলের মুঠি ধরে হিড় হিড় টেনে নিয়ে যাবে গোরস্তানে কিংবা হৈ হৈ নাচবে আমাকে ঘিরে, কী... Read more

নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের সৈকতে – শামসুর রাহমান আমার ভেতর থেকে আশ্চর্য এক যুবক সামুরাই তরবারির ঝলসানির আঙ্গিকে বেরিয়ে সরাসরি হেঁটে যায় তোমার নিবাসে রাস্তার ভিড় আর কোলাহলের চারদিকে পর্দা টেনে দিয়ে। তুমি তাকে না দেখে তাকাও এক স্তূপ ধূসরতার দিকে; তোমার... Read more