
শকুন্তলা – শামসুর রাহমান শকুন্তলা নও, পতিগৃহেও যাচ্ছো না, তবু দেখি আশ্রমের নয়, শহরের বাগানের চারাগাছ তোমার আঁচল জোরে জড়িয়ে ধরেছে, পাতা নাচ কখন দিয়েছি জুড়ে প্রতিবাদে; ধরন সাবেকি। তোমার যাবার আগে বাঁধা দিতে পারছি না, আছি বিষণ্ন, নিশ্চুপ, তুমি... Read more

রক্ষাকবচ – শামসুর রাহমান এতদিনে জেনে গেছি সুসময় ভীষণ অস্থির। এখন তো বারংবার শবযাত্রা, কবরখানায় একা একা ব’সে থাকা মৃত্যুগন্ধময় নিরালায়; এখন পাবো না আর একটিও মুহূর্ত স্বস্তির। ক্রূর অন্ধকারে আছি তুমিহীন অত্যন্ত একেলা। কর্কশ গজায় দাড়ি, নখ বড়ো বেশি... Read more

যাওয়া যায় – শামসুর রাহমান যখন দাঁড়াও তুমি রাত্তিরে কৃপণ বারান্দায় নিরিবিলি, খোলা আকাশের তারাগুলি বিস্ফারিত চোখে দ্যাখে তোমাকে এবং ভাবে-কে এই মানবী এমন স্বর্গীয় রূপ নিয়ে আছে ধূসর জমিনে? ‘অতিশয়োক্তির অবকাশ নেই’, মেঘ তারাদের কানে-কানে বলে। আমি মেঘ থেকে... Read more

যদিও লোকটা অসুস্থ – শামসুর রাহমান বেশ কিছুদিন হলো, বহুদিন হলো অসুস্থতা চঞ্চুতে রেখেছে বিদ্ধ করে লোকটিকে। এখন সে পড়ে না সংবাদপত্র, কতদিন কবিতার বই সস্নেহে আলতো ছুঁয়ে রেখে দেয়, কখনো হয় না পড়া, মাঝে মাঝে খুব কষ্ট ক’রে একটি... Read more

যদি তুমি মন থেকে – শামসুর রাহমান এখন এ মধ্যরাতে মনে রেখো ধ্বনি বেজে ওঠে সারা চরাচরে; শাখাচ্যুত পাতা গাছের উদ্দেশে বলে, মনে রেখো, সমুদ্রের ক্ষিপ্র ঢেউ তটে এসে চুর্ণ হয়ে প্রতিবার আমাকে ভুলো না বলে ছোটে আবার পিছনে। গোধূলির... Read more