বই: আরণ্যক
লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
প্রকৃতির যে সুক্ষ কবিত্বপূর্ণ অনুভূতি বিভূতিভূষণের উপন্যাসের গৌরব তা এই উপন্যাসে চরম উৎকর্ষ লাভ করেছে। “আরণ্যক” উপন্যাসে লেখক প্রকৃতিকে মূখ্য আর মানুষকে গৌণ হিসেবে দেখিয়েছেন।
উপন্যাসের নায়ক হলেন সত্যচরণ,একজন তরুণ যুবক। যাকে কাজের সন্ধানে কলকাতার বহু জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয় এবং এক সময় তিনি জঙ্গলে একটি চাকরি ও পেয়ে যান।
সত্যচরণ উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র, তবে তাকে কেন্দ্রীয় চরিত্র মনে করা হলে ভুল হবে। উপন্যাসে মূলত কেন্দ্রীয় চরিত্র নেই,জঙ্গলই হলো এর কেন্দ্রীয় চরিত্র যা প্রতিক্ষেত্রই নিজের সৌন্দর্য এর পরিচয় দেয়। সত্যচরণ এ সব কিছুর বাহিরে দাড়িয়ে থাকে। তার প্রখর মেধা ও আকুতি দ্বারা সে যা কিছু দেখে তা বুঝতে ও উপভোগ করতে পারে, কিন্তু যে টসব কিছুর সাথে মিশে যেতে পারে না। কারণ সে একজন। আগন্তুক, জঙ্গলে তার কোনো স্থান নেই।
রাজু পাঁড়ে,ধাতুরিয়া,ধাওতার সাহু, মটুকনাথ পাঁড়ে,যূগল প্রসাদ,কুন্তা, মঞ্চী, রাসবিহারী সিং,ভানুমতি,নন্দলাল ওঝা এই চরিত্র গুলো উপন্যাসে ভিন্ন মাত্রার সৃষ্টি করেছে…….