
হাসিরাশি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাম রেখেছি বাব্লারানী, একরত্তি মেয়ে। হাসিখুশি চাঁদের আলো মুখটি আছে ছেয়ে। ফুট্ফুটে তার দাঁত কখানি, পুট্পুটে তার ঠোঁট। মুখের মধ্যে কথাগুলি সব উলোটপালোট। কচি কচি হাত দুখানি, কচি কচি মুঠি, মুখ নেড়ে কেউ কথা ক’লে হেসেই... Read more

সাত ভাই চম্পা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাতটি চাঁপা সাতটি গাছে, সাতটি চাঁপা ভাই— রাঙা – বসন পারুলদিদি, তুলনা তার নাই। সাতটি সোনা চাঁপার মধ্যে সাতটি সোনা মুখ, পারুলদিদির কচি মুখটি করতেছে টুক্টুক্। ঘুমটি ভাঙে পাখির ডাকে, রাতটি যে পোহালো— ভোরের... Read more

সমালোচক – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাবা নাকি বই লেখে সব নিজে। কিছুই বোঝা যায় না লেখেন কী যে! সেদিন পড়ে শোনাচ্ছিলেন তোরে, বুঝেছিলি? – বল্ মা, সত্যি করে। এমন লেখায় তবে বল্ দেখি কী হবে।। তোর মুখে মা, যেমন কথা শুনি... Read more

সমব্যথী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি খোকা না হয়ে আমি হতেম কুকুর-ছানা— তবে পাছে তোমার পাতে আমি মুখ দিতে যাই ভাতে তুমি করতে আমায় মানা? সত্যি করে বল্ আমায় করিস নে মা, ছল— বলতে আমায় ‘দূর দূর দূর। কোথা থেকে এল... Read more

শীতের বিদায় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্ত বালক মুখ-ভরা হাসিটি, বাতাস ব’য়ে ওড়ে চুল— শীত চলে যায়, মারে তার গায় মোটা মোটা গোটা ফুল। আঁচল ভরে গেছে শত ফুলের মেলা, গোলাপ ছুঁড়ে মারে টগর চাঁপা বেলা— শীত বলে, ‘ভাই, এ কেমন... Read more