
প্রথম দেখা – শামসুর রাহমান তোমাকে প্রথম দেখি মধ্যাহ্নের নিঝুম চৈনিক রেস্তোরাঁয়। অবশ্য এ কথা তুমি করো না স্বীকার। তুমি বলো, আমাদের দেখা হয়েছিল অনেক আগেই কী এক মেলায়। মেলা? শুনে মনে কেমন খটকা লাগে। যদি পৃথিবীকে সুবিশাল কোনো মেলা... Read more

শুভেচ্ছান্তে – শামসুর রাহমান তোমার বয়স কত হলো ঠিক? ঝড়ে-জলে আজ তেষট্রি পেরুলে বুঝি। আমিও তোমাকে সুপ্রাচীন ধুমল কাগুজে স্তূপে অতিশয় পরিণামহীন বিবর্ণ দলিল ভেবে বস্তুত ছিলাম ভুলে। বাজ পাখি বলে রটেনি তোমার নাম কিংবা অধিরাজ ছিলে না কখনো কোনো... Read more

শিল্পের অপচয় – শামসুর রাহমান মনে হয়, কতকাল বাইরে যাইনি কতকাল, যেন হিমযুগে রয়ে গেছি, অন্ধকার বাস করে দীর্ঘকাল বাস করে, হৃদয় কেমন কৃষ্ণকায় তুষারের মতো হয়ে গেছে। লতাগুল্ম কিছু নেই চুতুষ্পার্শ্বে, বুজে থাকা চোখ বড় বেশি ঢাকা রুক্ষ পাথুরের... Read more

শিরোনামহীন – শামসুর রাহমান কিছুই পারো না ধরে রাখতে কখনো, ঝরে যায়- হাত থেকে গোলাপ টগর, চিঠি, ঝুঁটি কাকাতুয়া, কবিতা লেখার নীল পোয়াতী প্রহর নিরিবিলি ঝরে যায় শুধু। এক ডিসেম্বরে পাওয়া নামঙ্কিত আলৌকিক একটি রুমাল হারিয়ে ফেলেছো তুমি অন্য ডিসেম্বরে।... Read more

শহুরে জ্যোৎস্নায় – শামসুর রাহমান সেদিন এক ফালি জ্যোৎস্না দেখে চমকে উঠেছিলাম, যেমন সাপের চকচকে চোখ দেখে পথচারী। জ্যোৎস্না যে-কোনো স্থানে তন্বীর সুরের মতো গুঞ্জরিত হতে পারে- নৈসর্গিক যে কোনো বস্তুতে, যে-কোনো প্রতিষ্ঠানে। ডিমভরা পাখির বাসায় টলটলে জ্যোৎস্নাঃ শৈশব। হরিণের... Read more