
প্রতিটি নিঃশ্বাসে – শামসুর রাহমান বারান্দায় আহত লোকটা। তার অর্ধেক শরীর রোদ্দুরে, অর্ধেক ন্যস্ত ছায়ায়; ঘুরে কোমলতা প্রশ্রয় দিয়েছে তাকে। খোয়াবের অর্ধস্ফুট ভিড় ঘিরে ধরে, সুপ্রাচীন কংকালেরা হিজিবিজি কথা কেবলি বলতে থাকে স্বপ্নের ভেতর। অকস্মাৎ জেগে ওঠে, এদিক ওদিক দেখে... Read more

শুদ্ধ হতে চাই – শামসুর রাহমান আহ্ কতকাল পর দেখা। এখন তোমার কোনো খবর রাখি না বন্ধু, এ লজ্জা আমার। কী করে যে তোমাকে ভুলেছিলাম এতদিন, অথচ দিন ছিল আমরা দু’জন দিব্য একই বিছানায় ঘুমোতাম গলাগলি, দাড়ি কামাতাম একই ব্লেডে।... Read more

শব্দশব – শামসুর রাহমান বসে, শুয়ে দাঁড়িয়ে,-কিছুতেই না আমার সুখ, না স্বস্তি। রেস্তোরাঁয় চিকেন কাটলেট অর্ডার দিয়ে অথবা বাসস্টপে দাঁড়িয়ে, পার্কের বেঞ্চিতে বসে গাছ থেকে পাতা খসে-যাওয়া কিংবা ঝালমুড়িঅলার তৎপরতা দেখতে দেখতে আমি ছটফট করি। মনে আমার চরকি; চাদ্দিকে এই... Read more

শব্দচেতনা – শামসুর রাহমান কোনো লুকোছাপা নয়, এর দরকার আছে বলে মনে করি না। শব্দ নিয়ে ছ্যাবলামি আমার ধাতে নেই,-এই শাদা কথাটা আমাকে সরাসরি বলতেই হচ্ছে। না বললেও চলে বটে, যা ঘটে ঘটুক, বলে ফেলাটাই ভালো। আত্মহত্যার বদলে খুদকুশি শব্দটি... Read more

রবীন্দ্রনাথের জন্যে – শামসুর রাহমান যখন অধ্যাপকের জিভের ডগায় তোমার কবিতাবলী ভীষণ চর্চিত হ’তে থাকে, তখন আমার কেউ নও তুমি হে রবীন্দ্রনাথ। যখন ঘোড়েল রাজনীতিবিদ মাতে মঞ্চ থেকে মঞ্চান্তরে তোমার প্রবল নাম সংকীর্তনে তোমার রচনাবলী না পড়েই, তখন তোমাকে চিনি... Read more