
যখন পেছনে ফিরে – শামসুর রাহমান যখন পেছনে ফিরে তাকাই সহসা, বিস্ময়ের রূপালি চমক লাগে চোখে। সুদূর বালক এক, নিঃসঙ্গ কিশোর, গানে-পাওয়া যুবা একজন, যখন আমার প্রতি রুমালের ভালোবাসা নাড়ে এই সান্দ্র গোধূলিতে, চেনা লাগে; আমিও ব্যাকুল করি প্রিয় সম্ভাষণ।... Read more

মাস্টারদার হাতঘড়ি – শামসুর রাহমান মাস্টারদা, আপনি কি হাতঘড়ি পরতেন কখনো, এই প্রশ্ন আমাকে ঠোকর মেরেছে অনেকবার মাস্টারদা, আপনার বিষয়ে অনেক কিছু জানা আছে আমার। আপনার শরীরের গড়ন, মূল্যবান রত্নের মতো চোখের দীপ্তি, জীবন-যাপনের ধরন-একরম বহুবিধ খুঁটিনাটির আলো আমি পেয়েছি... Read more

পুরোনো দিনের টানে – শামসুর রাহমান পুরোনো দিনের টানে মাঝে-মধ্যে এখনো সকালে অথবা বিকেলে কিংবা ভর সন্ধ্যেবেলা তসলিম রশিদের কাছে যাই। আমার নিজের বাসা থেকে ওর বাসগৃহ বেশ দূরে আরশি নগর বলা যায়, যদিও পড়শি নেই কোন তার প্রকৃতি প্রস্তাবে।... Read more

মা তার ছেলের প্রতি – শামসুর রাহমান এখন আমি বড় ক্লান্ত, আমার দৃষ্টি ক্রমশ ধূসর হয়ে আসেছ। সন্ধ্যার সোনালি-কালো প্রহরে ভাবছি, বাচ্চু, কতদিন তোর সঙ্গে আমার দেখা নেই। দিনের এই হট্রগোল আর চেঁচামেচিতে কতজনের গলা শুনি, কিন্তু তোর কণ্ঠস্বর আমি... Read more

মরুভূমি-বিষয়ক পংক্তিমালা – শামসুর রাহমান মাঝে-মধ্যে স্বপ্নে আমি মরুভূমি দেখি, মরুভূমি অতিকায় তৃষ্ণার্ত ওষ্ঠের মতো প্রসারিত আমার সত্তায়। বিদীর্ণ বেহালা, ছিন্ন ভিন্ন বেশভূষা, মর্চে-পড়া নীল পানপাত্র আর ঘোড়ার করোটি নিয়ে ধুধু বালিয়াড়ি পড়ে থাকে; পশুরাজ নিঃসঙ্গ রাজার মতো করে বিচরণ-... Read more