
প্রভুকে – শামসুর রাহমান প্রভু, শোনো, এই অধমকে যদি ধরাধামে পাঠালেই, তবে কেন হায় করলে না তুমি তোতাপাখি আমাকেই? দাঁড়ে বসে-বসে বিজ্ঞের মতো নাড়তাম লেজখানি, তীক্ষ্ণ আদুরে ঠোঁট দিয়ে বেশ খুঁটতাম দানাপানি। মিলতো সুযোগ বন্ধ খাঁচায় বাঁধা বুলি কুড়োবার, বইতে... Read more

প্রবাসী – শামসুর রাহমান তুইও যাচ্ছিস চ’লে ক্রমশ যাচ্ছিস চ’লে কেমন জগতে। তোর জগতের কোনো সুস্পষ্ট ভূগোল কোনোমতে ত্রঁকে দিতে পারলেও হয়তো বা হতো বোঝাপড়া বড়ো জোর নিজের মনের সঙ্গে। কাফকা অনধিগম্য তোর, ভূতলবাসীর আর্ত অস্তিত্বের উপাখ্যান ওরে তোর তো... Read more

প্রত্যাশা জেগে নয় – শামসুর রাহমান এখন রোদের যৌবনের তাপ নেই, এটাই তো অনিবার্য পড়ন্ত বেলায়। প্রত্যুষের আনকোরা ক্ষণে মাথা ক’রে হেঁটে চলা দীর্ঘকাল ক্লান্তিকেই করে আলিঙ্গন, জানা আছে যুগ যুগান্তের পথচারীদের। এই যে পথিক আমি হেঁটেছি বিস্তর, সে-তো গোধূলি... Read more

প্রত্যাশা ছিল না কোনো – শামসুর রাহমান প্রত্যাশা ছিল না কোনো, তবু যেন কে ঐন্দ্রজালিক হঠাৎ ঘটিয়ে দিল চোখের পলকে এই সব আশ্চর্য আমার জন্যে-এই অলৌকিক কলরব, দুয়ারে পুষ্পক রথ, অন্তরে নিভৃত মাঙ্গলিক। এই যে তোমার মুখোমুখি বসে আছি শীতাতপ... Read more

প্রতীতি আসেনি – শামসুর রাহমান প্রতীতি আসেনি আজো, শুধু গৃহপালিত স্বপ্নের তদারকে বেলা যায়। অস্তিত্বকে ভাটপাড়া থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এসে, চিকণ কথার বিদ্যুল্লতা থেকে দূরে উল্টো পাল্টা চিত্রকল্পে দিয়েছি পা মেলে। বশংবদ নক্ষত্রেরা আত্মায় জানায় দাবি, দেখি। সবসুদ্ধ কয়েক... Read more