চারটি স্তবক – শামসুর রাহমান কুয়োর শীতল জল আঁজলায় নিয়ে সন্ধেবেলা চেয়ে থাকি কিছুক্ষণ; জলে কার মুখ ভেসে ওঠে। পাখির চিৎকার শুনি, ভাঙে শীতল জলের খেলা অকস্মাৎ, অদূরে কোথাও শরমিলা ফুল ফোটে। ২ তোমার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি কোনো কুয়োতলায়... Read more
চায়ের দোকানে বসে – শামসুর রাহমান চায়ের দোকানে বসে মেঘলা সন্ধ্যায় অকস্মাৎ সাধ হয় রবীন্দ্রনাথের মতো চুলদাড়ি রেখে প্রেমিক সন্ন্যাসী হয়ে রূপোর মতোন কিছু ভস্ম আলতো বুলিয়ে দিই রুক্ষ জীবনের গালে। আমারও মুখমণ্ডলে উপনিষদের আভা বেশ মিশ্চিন্ত করুক খেলা সারাবেলা,... Read more
চতুর্দপদী – শামসুর রাহমান পায়রার পালকের রোদ তোমার হাতেরও রোদ, দেয়ালের শ্যামলিমা তোমার মুখেরও শ্যামলিমা। যখন দোয়েল শ্যামা ডাকে, অস্তিত্বের চতুঃসীমা তোমার সঙ্গীতময় হয় অনুরূপ; অনুরোধ করে চন্দ্রমল্লিকার কোমলতা তোমার নিকট বিশদ থাকার জন্যে, অথচ সত্তায় হু হু চিতা সর্বদা... Read more
ঘুম ভেঙে গেলে – শামসুর রাহমান মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলে স্মৃতি মুড়ি দিয়ে শুই পাশ ফিরে, দেয়ালে নজর, যেন সেখানে স্বপ্নের কিছু টুকরো লেগে আছে। কারো হাতে ঘড়ি দোল খায়, জানালা-পেরুনো হাওয়া মেশে নিদ্রাছুট শরীরে আমার, বোধাতীত বোধ তৈরি করে... Read more
গদ্য সনেট: ৭ – শামসুর রাহমান আজ প্রত্যুষ ঘুম ভাঙতেই আমার দৃষ্টির দিগন্তে তোমার মুখের চন্দ্রোদয়। তুমি ফিরে আসছো ভাবার সঙ্গে সঙ্গে প্রসন্নতার আবির ছড়িয়ে পড়ে সারা ঘরে, বইয়ের র্যাবকে, কবিতার খাতায়, আমার দেহমনে। আজকের দিন ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁর সেতারের... Read more
