জুনের দুপুর – শামসুর রাহমান সেদিন জুনের দুপুর ছিল, একলা ছিলে তুমি। ঘরের দুপুর বাড়ায় গ্রীবা, হঠাৎ তোমার পায়ের, নিচে উঠলো কেঁপে ভূমি। তখন আমি কিসের ঘোরে নিজের ভেতর একা বাঁচছি, মরছি, মরছি, বাঁচছি। এমনি করেই দ্বন্দ্ব থেকে ফোটে দুঃখরেখা!... Read more
জিন্দা লাশ – শামসুর রাহমান প্রস্থানের কালে তুমি বলেছিলে, ‘প্রিয়তম কবি, খারাপ করো না মন, ক’টা দিন হাসিখুশি থেকো। কী করে ফুটবে হাসি মনে, যখন তোমাকে আমি দেখতে পাবো না আর শুনতে পাবো না কণ্ঠস্বর তোমার? তা ছাড়া দেশ রাহুগ্রস্ত,... Read more
জনপথ লেখে – শামসুর রাহমান ঝেড়ে ফেলে দিতে দেশজোড়া অনড় পাথর শুধু রাজধানী নয়, আমাদের প্রতিটি শহর এবং শহরতলী গ্রাম ক্রুদ্ধ মানুষের কপালের শিরার ধরনে করে দপ দপ। কখনো দেখিনি, তবু তোমাদের কথা ভেবে আমাদের হৃদয়ের চোখে অশ্রধারা বয়, স্ফীত... Read more
ছায়ার ত্রিভুজ – শামসুর রাহমান এখন আমি আগেকার মতো নেই আর। ক’দিন থেকে আমার বুকের ভেতর একটা ছায়ার ত্রিভুজ জেগে উঠেছে। সেই ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দুতে কালো ঝুঁটি-অলা আজনবি এক বিষণ্ন পাখির বসবাস। ওর দু’ফোটা কালো চোখ ঘিরে সিঁদুর রঙের বাহার। পাখিটাকে... Read more
চিরকেলে প্রশ্ন – শামসুর রাহমান আবীর-ছাড়ানো সকালে তুমি এলে আমার ঘরে। পড়ছিলাম মিশেল ফুকোর ‘উন্মত্ততা এবং সভ্যত। উন্মত্ততা কি আমাকে স্পর্শ করতে চাইছে? তোমাকে দেখেই নড়ে-চড়ে বসি; তুমি জিগ্যেশ করলে স্বতঃস্ফূর্ত হেসে, ‘কী করছো?’ ‘এইতো এমন কিছু নয়’, বলে মিশেল... Read more
