প্রতিযোগী – শামসুর রাহমান আমার যুগল পা রক্তে ভাসে। যেখানে নিজস্ব পদচ্ছাপ আঁকার সাধ ছিলো আশৈশব, সেখানে পৌছুনো সহজ নয়। ছিলো না সম্বল তেমন কিছু খানিক ছিলো শুধু অহংকার। গড়তে চাইনি তো অকূল নদী, দিগ্বলয় কিংবা পাহাড়ও নয়। গড়ার সাধ... Read more
প্রণয়ের সংজ্ঞা – শামসুর রাহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে লগ্ন একজন মেদুর যুবক ঝাঁ ঝাঁ এক দুপুরে আমার কাছে এসে সবিনয়ে কিছুক্ষণ এটা সেটা বলে আমার নিকট থেকে লাজনম্র স্বরে, যেন নিজের সঙ্গেই আলাপের সূত্রপাত করে, জেনে নিতে চায় প্রণয়ের সংজ্ঞা ঈষৎ গভীরভাবে।... Read more
প্রকৃতির কাছে – শামসুর রাহমান জীবনানন্দীয় পরিবেশে অপরাহ্নে পাশাপাশি, মনে পড়ে, ছায়াচ্ছন্নতায় আমরা ছিলাম বসে মাঝে-মধ্যে গাছ থেকে শুক্নো পাতা পড়ছিলো খসে; উচ্ছ্বসিত বিকেলের রঙ এবং তোমার হাসি একাকার, প্রকৃতির কাছে আজো কিসের প্রত্যাশী আমরা ভাবছিলাম। দেখি, হংস-হংসী ঠোঁট ঘষে... Read more
শুভেচ্ছান্তে – শামসুর রাহমান তোমার বয়স কত হলো ঠিক? ঝড়ে-জলে আজ তেষট্রি পেরুলে বুঝি। আমিও তোমাকে সুপ্রাচীন ধুমল কাগুজে স্তূপে অতিশয় পরিণামহীন বিবর্ণ দলিল ভেবে বস্তুত ছিলাম ভুলে। বাজ পাখি বলে রটেনি তোমার নাম কিংবা অধিরাজ ছিলে না কখনো কোনো... Read more
শুনি অপরাহ্নে – শামসুর রাহমান শুনি অপরাহ্নে অর্ফিয়ূস বাজায় মোহন বাঁশি- ভাঙাচোরা পৌর পথ, মায় ঘরদোর, শীর্ণ গাছ কেমন বদলে যায় নিমেষেই আর জোড়ে নাচ বস্তুপুজ্ঞ দশদিকে। ভালোবাসি, আমি ভালোবাসি উচ্চারণ ক’রে যেন স্বপ্নময় মেঘলোকে ভাসি; ভালোবাসি, ভালোবাসি। সে ভালোবাসুক... Read more