পারি না ফোটাতে – শামসুর রাহমান তোমার কি মনে পড়ে আলোকিত ঘরে সন্ধেবেলা তুমি খুব রেগে গিয়েছিলে, যেন অন্তরাল থেকে ভীষণ বিকারী কেউ চোখে লালসার রঙ মেখে তোমাকে দেখেছে ফেলে গগ্ন? অথচ আমার খেলা বুঝতে পারোনি তুমি; চুপিসারে ছিপছিপে ভেলা... Read more
দৃশ্যাবলী – শামসুর রাহমান প্রতিদিন কত কিছু চোখে পড়েঃ পথঘাট, যান, এবং দোকানপাট, ঝকঝকে, মানুষের ভিড়, রেস্তোরাঁ, শ্যামল পার্ক, নৌকোময় শান্ত নদীতীর চিড়িয়খানার বন্দী পশুপাখী, পুরোনো অর্গান। পথে কৃষ্ণচূড়ার বিদ্রোহ, একজন বর্ষীয়ান নিঃশব্দে পোহান স্মৃতি, তাঁর গলকস্বলের ভাঁজে চুমু খায়... Read more
দূরের একটা বাড়ি আমাকে – শামসুর রাহমান দূরের একটা বাড়ি আমাকে ভূতগ্রস্ত করে ফেলেছে ইদানীং। বাড়িটার দেয়াল দরজা জানালা অলিন্দ, বল্লমের মতো ছাদের চূড়ো-সবকিছু লগ্ন আমার ভাবনায় সকল সময়। বাড়ি আমাকে দীর্ণ করে উল্টা-পাল্টা করে ফেলে আমার মগজের কোষ। বাড়িটাকে... Read more
দুপুর, তুমি এবং পাখি – শামসুর রাহমান দুপুরটার যেন গায়ে হলুদ আজ। আমি জানি, একটু পরেই তুমি নরম পায়ে তোমাদের দোলনায় ছায়াটে বারান্দায় এসে বসবে। দৃষ্টি ছড়িয়ে দেবে সামনের দিকে, চোখে পড়বে একটি কি দু’টি ছুটন্ত মোটারকার, রিক্শা। কোনও কোনও... Read more
দুই যাত্রী – শামসুর রাহমান আমরা দু’জন ছিলাম দু’দিকের যাত্রী, অথচ তড়িঘড়ি উঠে পড়ি বেঠিক ট্রেনের এক্ ভুল কম্পার্টমেন্টে। যখন ভুল বুঝতে পারলাম, তখন ট্রেন বেশ জোরে চলতে শুরু করেছে। আমরা পরস্পরের দিকে ঘনঘন তাকাচ্ছিলাম, যেন দূরের দু’টি গ্রহ। ট্রেন... Read more
