দ্বীপ – শামসুর রাহমান হঠাৎ আমার ভেলা ডুবে গেলো খর চোরাটানে ভর সন্ধ্যাবেলা আর সাঁতারে অপটু আমি ঘোলা জলের নিমর্ম পাকে জড়াতে জড়াতে অনবোলা অসহায় প্রাণীর মতন ডুবি, ভাসি, কোন্ খানে কোন্ নিরুদ্দেশে একা যাবো ভেসে অন্তিমে কে জানে। হতিমধ্যে... Read more
দ্বিতীয় যৌবন – শামসুর রাহমান তোমার যোগ্য কি আমি? এখন আমার দিকে চোখ রেখে ভালো করে দ্যাখো, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দ্যাখো এই আমাকে নবীনা তুমি। আমার সত্তায় আর নেই প্রখর বৈভব প্রৌঢ়ত্বের তাম্রছায়া প্রায় শোক হ’য়ে ঝুলে থাকে ত্বকে। আমি সেই... Read more
দোদুল্যমান – শামসুর রাহমান সে বসেছিল তার প্রশস্ত বারান্দায় শরীরে যৌবনের গোধূলি নিয়ে। আমি, বার্ধক্যের দোরগোড়া-পেরুনো, তার মুখোমুখি অন্ধকারের ডানার রেশমি ছায়ায়। একটি ক্লান্ত পাখির ডানা ঝাড়ার শব্দে চিড় ধরে নিস্তব্ধতায়, হঠাৎ এক সময় মনে হলো, সে নেই এই সন্ধ্যাময়... Read more
দেবার মতোন কিছু নেই – শামসুর রাহমান রাজরাজড়াকে হাসানোর ক্ষমতা আমার নেই, হীরে-জহরত ঝলসিত মহিলার কোলজোড়া জুলজুলে দৃষ্টি নিয়ে মোলায়েম থাবা নাচানোর, বারংবার গলার রঙিন ঘুন্টি দোলানোর শিল্প আমি আয়ত্তে আনিনি। বিশাল প্রাসাদে একা দিনরাত্রি অনেক বছর কাটায় যে লোক... Read more
পাস্তারনাকের কাব্যগ্রন্থের নিচে – শামসুর রাহমান ১ কোনও কোনও কবিতা দূরে দাঁড়িয়ে থাকে; রুখু লালচে চুল, নীল চোখ, গালে আপেলের রক্তিমাভা; ক্ষুৎ-পিপাসা, বুলেট এবং বোমা থেকে পালিয়ে বেড়ানো উদ্বাস্তু ইরাকী বালিকা। হাত নেড়ে ডাকি, রুটি, কোকাকোলা আর লজেন্সের প্রতিশ্রুতি দিই,... Read more
