বুদোয়ারে – শামসুর রাহমান আর কত করবো আমি নিভৃতে তোমার ইস্তেজার সারাবেলা প্রতিদিন? এখন তোমাকে খুঁজে ফিরি প্রষ্ফুটিত গোলাপ এবং গন্ধরাজে, ঝিরিঝিরি হাওয়ার হেরেমে মেঘে নদীবক্ষে বেকারার হৃদয়ে প্রকৃত পক্ষে। তবু আজো তোমার দিদার স্থগিত, অথচ দেখি তোমাকেই বাসের ভিতরে... Read more
বুগেনভেলিয়া – শামসুর রাহমান ঘরের বাইরে নুয়ে আছে নিরিবিলি বারান্দায় বুগেনভেলিয়া, যেন শূন্য রাঙা মন্দিরে প্রণতা দেবদাসী একাকিনী। ঘরের ভেতরে আচ্ছন্নতা গদ্যের পদ্যের, আমাদের দু’জনের চেতনায় কত যে শতাব্দী বয়ে যায়। আমাদের বাক্যালাপে খৃষ্টপূর্ব সূর্যোদয়, বিশ শতকের অস্তরাগ, কত তক্কো... Read more
নিষ্পিষ্ট বেহালা – শামসুর রাহমান আমার হৃদয় জুড়ে সারাক্ষণ এ কী জলহাওয়া। আবহকুক্কুট ঘোরে উল্টোপাল্টা, দিকচিহ্নগুলি সহসা গিয়েছে উড়ে, দরজা, জানালা ঘুলঘুলি কম্পমান ক্ষণে ক্ষণে। খুব একা কোনো গানে-পাওয়া লোকের স্বভাবে ঘুরি দিগ্ধিদিক মানুষের হাটে, কখনো দারুণ জনশূন্যতায়। রুদ্র ভূকম্পন... Read more
নিরুপমার কাছে প্রস্তাব – শামসুর রাহমান বকুলতলায় যাবে? তুমি বড়ো সন্দেহপ্রবণ, সেখানে, বিশ্বাস করো, সাপখোপ নেই, মাস্তানের আড্ডা নেই। বিপদের আবর্তে তোমাকে কোনোদিন ডোবাতে পারি না। পাখি আসে সেখানে এবং কয়েকটি প্রজাপতি হয়তো-বা। কবিতার বই ইচ্ছে করলে আনতে পারো, পাশাপাশি... Read more
নিয়ত স্পন্দিত – শামসুর রাহমান আমাকে টপ্কে তুমি যাও হে কোথায়? খাও টক কুল ভর সন্ধ্যেবেলা। বই মেলায় যাবে বুঝি আজ বাসন্তী রঙের শাড়ি প’রে? চায়ের দোকানে ব’সে গল্মগুজবের স্রোতে ভেসে-যাওয়া, ফুচ্কা খাওয়া, কখনও একটি দু’টি বই কেনা ফিরতি পথে,... Read more
