রোদ আর জ্যোৎস্নাধারা কাঁদে – শামসুর রাহমান কেন এই ভোরবেলা দু’চোখে আমার বস্তুত কিছুই ধরা পড়ছে না? কিছুকাল ধরে দৃষ্টি ঘুণে-ধরা সত্য, তবু অন্ধ তো হইনি আজও, তবে কেন ঘোর অমাবস্যা এমন পাথুরে পর্দা আজ ঝুলিয়ে দিয়েছে চারদিকে? এখন কোথায়... Read more
রুস্তমের স্বগতোক্তি – শামসুর রাহমান কেমন সুর্যাস্ত এলো ছেয়ে চরাচরে, রক্তচ্ছটা সর্বত্র ভীষণ জ্বলজ্বলে, ধরায় দারুণ জ্বালা আমার দু’চোখে, আর যেদিকে তাকাই দেখি শুধু একটি ফ্যাকাশে মুখ, নিষ্প্রভ তরুণ ফল যেন, ভূলুণ্ঠিত গোধূলিতে। ঝকঝকে বল্লমের মতো, মনে পড়ে, উঠেছিলো ঝল্সে... Read more
রাহুগ্রাস – শামসুর রাহমান আমাকে থাকতে হবে অপেক্ষার ধু ধু সাহারায় আরো কিছুকাল, মনে হয়ঃ স্বৈরাচারী আঁধিঝড় চতুর্দিকে ক্রমান্বয়ে উপড়ে নিয়েছে বহু ঘর। সন্ত্রাসশাসিত মানুষের মুখ দেখে দিন যায় কোনো মতে, দুঃস্বপ্নের ভয়ে রাত কাটে অনুদ্রায়, মাঝে মাঝে অজান্তে শিউরে... Read more
রক্ত খেকোদের সামনে – শামসুর রাহমান চা খেতে-সংবাদপত্র পড়ি।স্থুলাক্ষরের হেডলাইন সন্ত্রাসীর মতো চোখ রাঙিয়ে দাঁত খিঁচিয়ে আমাকে তাড়া করে, আমার দিকে উঁচিয়ে ধরে স্টেনগান। বিপন্ন উদ্বাস্তুর মতো ব’সে থাকি খোলা আকাশের নিচে, ভূমিকম্পে ধসে-পড়া আমার হাত একটি অস্পষ্টস্মৃত কাহিনীর সূচনা... Read more
যেখানেই হাত রাখি – শামসুর রাহমান যেখানেই হাত রাখি, হাত পুড়ে যায় একটু বাড়ালে মুখ, মুখ ঝলসে যায়। এমনকি লেখার টেবিল যেন গলানো লোহার গনগনে পাত। এখন কোথাও হাত রেখে স্বস্তি নেই। শহরের গাছপালা ভীষণ উগরে দিচ্ছে তাপ, জনপথ ফুটন্ত... Read more