শহুরে জ্যোৎস্নায় – শামসুর রাহমান সেদিন এক ফালি জ্যোৎস্না দেখে চমকে উঠেছিলাম, যেমন সাপের চকচকে চোখ দেখে পথচারী। জ্যোৎস্না যে-কোনো স্থানে তন্বীর সুরের মতো গুঞ্জরিত হতে পারে- নৈসর্গিক যে কোনো বস্তুতে, যে-কোনো প্রতিষ্ঠানে। ডিমভরা পাখির বাসায় টলটলে জ্যোৎস্নাঃ শৈশব। হরিণের... Read more
শব্দের কাছেও – শামসুর রাহমান শব্দের কাছেও মাঝে-মধ্যে খুব শান্তি পেয়ে হয়। দীর্ঘবেলা কাটিয়েছি শব্দের সহিত, কখনো সম্পর্ক ছিঁড়ে ফেলে সজীব লতার মতো দেখি টান থেকে যায়, থাকে এখান সেখানে মায়া, বিষণ্নতা, আনন্দের স্মৃতি। বাউল যেমন গোধূলিকে একতারাময় বড় উদাস... Read more
লোকগুলোর কী হয়েছে – শামসুর রাহমান লোকগুলোর কী হয়েছে বলোতো মুখে কুচকুচে অথবা ধবধবে দাড়ি দেখলেই অথর্ব মোল্লা ঠাউরে নেয় আর উশকো খুশকো চুল ময়লা ট্রাউজার হলুদ উদাসীনতা-ছাওয়া চোখ দেখলেই ছন্নছাড়া পদ্যলিখিয়ে কী যে বোঝাতে চায় এই নিদ্রাচারীরা ওরা নিজেরাই... Read more
লেয়ার্টেস – শামসুর রাহমান এই ছিল তবে আমার ভাগ্যে মধ্যদুপুরে বিনা মেঘে এই বিপুল বজ্রপাত? পিতা হত আর পিতৃশোকেই ভগ্নী আমার উন্মাদিনী সে হয়েছে আকস্মৎ। কত ঝঞ্ঝায় কত যে প্লাবনে কেটেছে আমার মাতৃস্নেহের ছায়াহীন শৈশব। বিকৃত শত মুখোশের ঢঙে নাচে... Read more
লড়ছি সবাই – শামসুর রাহমান মিশমিশে ঘোর অন্ধকারে কনুই দিয়ে ধাক্কা মারে, রহিম পড়ে রামের ঘাড়ে, কেউবা দেখি চুপিসারে অন্য কারুর জায়গা কাড়ে পাচ্ছি তা টের হাড়ে হাড়ে। লাইন থেকে সরছি ক্রমে সরছি। জল খেয়েছি সাতটি ঘাটে, ফল পেয়েছি বাবুর... Read more