চড়িভাতি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফল ধরেছে বটের ডালে ডালে; অফুরন্ত আতিথ্যে তার সকালে বৈকালে বনভোজনে পাখিরা সব আসছে ঝাঁকে ঝাঁক। মাঠের ধারে আমার ছিল চড়িভাতির ডাক। যে যার আপন ভাঁড়ার থেকে যা পেল যেইখানে মালমসলা নানারকম জুটিয়ে সবাই আনে। জাত-বেজাতের... Read more
ঘোষালের বক্তৃতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘোষালের বক্তৃতা করা কর্তব্যই, বেঞ্চি চৌকি আদি আছে সব দ্রব্যই। মাতৃভূমির লাগি পাড়া ঘুরে মরেছে, একশো টিকিট বিলি নিজ হাতে করেছে। চোখ বুজে ভাবে, বুঝি এল সব সভ্যই। চোখ চেয়ে দেখে, বাকি শুধু নিরেনব্বই। (খাপছাড়া... Read more
ঘুমের তত্ব – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাগার থেকে ঘুমোই , আবার ঘুমের থেকে জাগি — অনেক সময় ভাবি মনে কেন , কিসের লাগি ? আমাকে , মা , যখন তুমি ঘুম পাড়িয়ে রাখ তখন তুমি হারিয়ে গিয়ে তবু হারাও নাকো ।... Read more
ঘুমচোরা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে নিল খোকার ঘুম হরিয়া। মা তখন জল নিতে ও পাড়ার দিঘিটিতে গিয়াছিল ঘট কাঁখে করিয়া।— তখন রোদের বেলা সবাই ছেড়েছে খেলা, ও পারে নীরব চখা-চখীরা; শালিক থেমেছে ঝোপে, শুধু পায়রার খোপে বকাবকি করে সখা-সখীরা; তখন... Read more
ঘাসে আছে ভিটামিন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘাসে আছে ভিটামিন, গোরু ভেড়া অশ্ব ঘাস খেয়ে বেঁচে আছে, আঁখি মেলে পশ্য। অনুকূল বাবু বলে, “ঘাস খাওয়া ধরা চাই, কিছুদিন জঠরেতে অভ্যেস করা চাই– বৃথাই খরচ ক’রে চাষ করা শস্য। গৃহিণী দোহাই পাড়ে... Read more
