রাত আড়াইটার পঙ্ক্তিমালা – শামসুর রাহমান এখন রাত আড়াইটা। টেবিলে ঝুঁকে আমি লিখছি। মৃত্যুশয্যাপ্রতিম গলিতে হঠাৎ কুকুরের হাসি না কান্না, বোঝা দায়। কান খাড়া করে কিছুক্ষণ বাইরের অন্ধকারে তাকিয়ে থাকি। আবার একটি বাক্যের খণ্ডাংশকে পুরো সাজিয়ে তুলতে কলম ধরি। কয়েক... Read more
রাজকাহিনী – শামসুর রাহমান ধন্য রাজা ধন্য, দেশজোড়া তার সৈন্য! পথে-ঘাটে-ভেড়ার পাল। চাষীর গরু, মাঝির হাল, ঘটি-বাটি, গামছা, হাঁড়ি, সাত-মহলা আছে বাড়ি, আছে হাতি, আছে ঘোড়া। কেবল পোড়া মুখে পোরার দুমুঠো নেই অন্ন, ধন্য রাজা ধন্য। ঢ্যাম কুড় কুড় বাজনা... Read more
রক্ত খেকোদের সামনে – শামসুর রাহমান চা খেতে-সংবাদপত্র পড়ি।স্থুলাক্ষরের হেডলাইন সন্ত্রাসীর মতো চোখ রাঙিয়ে দাঁত খিঁচিয়ে আমাকে তাড়া করে, আমার দিকে উঁচিয়ে ধরে স্টেনগান। বিপন্ন উদ্বাস্তুর মতো ব’সে থাকি খোলা আকাশের নিচে, ভূমিকম্পে ধসে-পড়া আমার হাত একটি অস্পষ্টস্মৃত কাহিনীর সূচনা... Read more
যেতে-যেতে বড় ক্লান্ত – শামসুর রাহমান অনেকটা পথ একা হেঁটে যেতে-যেতে বড় ক্লান্ত হয়ে যেন ঢ’লে পড়ি বালির লুকানো মৃত্যুফাঁদে। গা বেয়ে শীতল ঘর্ম-স্রোত বয়ে যেতে থাকে। কী করি? কী করি?-প্রশ্ন বারবার হানা দেয় অন্তরের একান্ত শোণিতে। এই যে এখানে... Read more
যেখানেই হাত রাখি – শামসুর রাহমান যেখানেই হাত রাখি, হাত পুড়ে যায় একটু বাড়ালে মুখ, মুখ ঝলসে যায়। এমনকি লেখার টেবিল যেন গলানো লোহার গনগনে পাত। এখন কোথাও হাত রেখে স্বস্তি নেই। শহরের গাছপালা ভীষণ উগরে দিচ্ছে তাপ, জনপথ ফুটন্ত... Read more
