ধুলোমাখা জলরঙ – শামসুর রাহমান ১ নব্বই-এর গণআন্দোলন, তার বিজয়, রূপান্তরিত করেছে আমাদের। তোমাকে দেখলাম ‘জনতার জয়’ মঞ্চে কিছুক্ষণের জন্যে। ভিন্ন এক তুমি এরই মধ্যে এক ফাঁকে কানে কানে বললে, ‘এই উৎসবে তোমাকে কিছু উপহার দিতে মন চাইছে। ‘কী? আমার... Read more
দেহতত্ত্ব – শামসুর রাহমান কখনো নিইনি কোনো গুরুর নিকট দীক্ষা, দেহে ভস্ম মেখে বৃক্ষতলে ধূপ ধূনা জ্বেলে জোরেশোরে চিমটা বাজিয়ে লোক জড়ো করিনি কস্মিনকালে। মানবতাবাদী বাউলের তরিকায় নিত্যদিন দেহের বন্দনা করি; গীত রচনায় নিমজ্জিত, দোতারা ছাড়াই ঘুরি এ ভবের হাটে।... Read more
দেখা যায় কিনা – শামসুর রাহমান কী যে হয়েছে তাঁর, ইদানীং কোনো কিছুই তেমন স্পষ্ট দেখতে পান না, না হাতের কাছের চায়ের পেয়ালা, না দূরের গাছপালা। অনেকটা আন্দাজে ঠাওর করে নেন। হাসপাতালে যাই যাই করেও যাওয়া হলো না আজ অব্দি।... Read more
পিতার প্রতিকৃতি – শামসুর রাহমান ‘কখনো নদীর স্রোতে মৃত গাধা ভেসে যেতে দেখেছি সন্ধ্যায়, দেখেছি একদা যারা হৈচৈ করে যুদ্ধে গেছে তাদের ক’জন মহৎ স্বপ্নের শব কাঁধে নিয়ে হেঁটে-হেঁটে ক্লান্ত হয়ে ফের স্বগৃহে এসেছে ফিরে। গোবিন্দলালের পিস্তলের ধোঁয়ায় রোহিনী আর... Read more
পিতলের বক – শামসুর রাহমান (আবুল হোসেনকে) এতদিন আছি তার কাছাকাছি তাই দুটি চোখে দেখেছি কৌতুক শ্লেষ, টকরো হাসি। স্তব্ধতায় ঠায় টেবিলে দাঁড়িয়ে আছি আঠারো বছর এক পায় ধ্যানী আলো-অন্ধকারে। প্রতিদিন তার প্রাণলোকে কতো কী-যে ঘটে দেখি, ঘোরালো তর্কের তীক্ষ্ণ... Read more
