নিজের কবিতা বিষয়ে কবিতা – শামসুর রাহমান আমার কবিতা নিয়ে রটনাকারীরা আশেপাশে নানা গালগল্প করে। কেউ বলে আমার কাব্যের গোপনাঙ্গে কতিপয় বেঢপ জড়ুল জাগরুক, ওঠেনি আক্কেল দাঁত আজো তার, বলে কেউ কেউ। আমার কবিতা নাকি বাউন্ডুলে বড়ো, ফুটপাথে ঘোরে একা... Read more
নিজের অজ্ঞাতেই – শামসুর রাহমান একদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে জেগে চোখ কচলাতে কচলাতে দেখি আমার জন্মশহরের প্রায় প্রতিটি রাস্তা শত শত গণ্ডারে ভরে গেছে। কে জানে কোত্থেকে এসেছে এ পশুর দল। হঠাৎ গণ্ডারের ভরাট মিছিল থেকে উচ্চারিত হলো, “কে রে... Read more
নিজেকে বুঝে নিতে চাই – শামসুর রাহমান প্রতিদিন নিজেকে খণ্ডিত ক’রে বুঝে নিতে চাই এতকাল এত পথ হেঁটে, এত ধুলোবালি গায়ে ঠাঁই দিয়ে আখেরে কী পেয়ে চৌদিকে ছড়াব ফুলঝুরি? কেউ-কেউ তাকায় আমার দিকে যেন সে দেখছে কোনও-এক আজব অদ্ভুত কিমাকার... Read more
নাবিক – শামসুর রাহমান শাদা পোশাকের লোক, মাথায় সফেদ টুটি, ছিল বন্দরে বন্দরে, আমাদের পরিচিত, তাসের আড্ডার একজন। মাঝে-মাঝে কী-যে হতো তার, তাস ফেলে জমাট টেবিল ছেড়ে ছুড়ে যেতো চলে, যেন সে শুনেছে গান জলকন্যাদের। নাম তার কখনো হয় নি... Read more
নাটক – শামসুর রাহমান নাটক চলছে সগৌরবে আর দর্শকে দর্শকারণ্য, তিল ধারণের ঠাঁই নেই কোনোখানে। কুশীলবদের অবয়ব দৈত্যমার্কা নয়, যমদূত নয় ওরা, বাস্তবিক মাটির মানুষই বলা চলে। দৃশ্যে আছে কিবা নেই, বোঝা দায়। উইংস-এর আড়ালে নিপুণ নেপথ্য-কথক অনর্গল আওড়ায় বাক্য... Read more
