বুড়ো ঈগলের মতো? – শামসুর রাহমান সময় তো বয়ে গেলো চোখের নিমেষে, অথচ জমার খাতা খাঁ খাঁ রয়ে গেছে আমার, আকাঙ্ক্ষা উড়ে যায় মেঘলা আকাশে। বসে থাকি একা ঘরে হতাশায়। তবে কি বৃথাই আমি বহু রাত নির্ঘুম কাটিয়ে ঝাঁঝালো দুপুরে... Read more
বুকের অসুখ – শামসুর রাহমান তিন-চার মাস ধরে সমগ্র সত্তায় জ্বরোভাব। মুখ তেতো সারাক্ষণ, খুক খুক কাশি। ফুসফুস থেকে অবিরাম মিলকভিটা মাখনের মতো কফ পড়ে, যদিও খাই না টোস্ট মাখন লাগিয়ে কতকাল, সে কবে পঞ্চাশ পেরিয়েছি বলে। বন্ধুদের কেউ কেউ... Read more
প’ড়ে আছি রুক্ষ দ্বীপে – শামসুর রাহমান দেখছি আমার পাশ কাটিয়ে একটি লোক লাঠি হাতে খুব খোঁড়াতে খোঁড়াতে আমাকে পেছনে ফেলে যেতে চায় যেন। কিছুক্ষণ পর একজন অন্ধ বৃক্ষতলে শীর্ণ হাত পেতে ব’সে আছে। তাকে কিছু দেব ভেবে হাতড়াই পকেট;... Read more
নৈঃসঙ্গ্য-লালিত আমি – শামসুর রাহমান নৈঃসঙ্গ্য লালিত আমি। শিরায় শিরায়, লোমকূপে কী শীতল স্রোত বয় সারাক্ষণ, অস্থিমজ্জা নিঝুম পল্লীর মতো। নিজে খাপছাড়া বলে লজ্জা পাই খুব একান্ত নিজেরই কাছে। নৈরাশের যূপে প্রায়শ আমাকে ঠেলে দ্যায়, দ্যায় বিরূপ দঙ্গলে ছুঁড়ে ক্ষিপ্র... Read more
নেকড়ের পালে একজন – শামসুর রাহমান অত্যস্ত নিঃসঙ্গ, নগ্ন; কম্পমান, কবচকুণ্ডল হারিয়ে ফেলবে নাকি, দেখছে সে দন্ত-নখরের অব্যাহত আঘাতে নিজের শরীরের খন্ডগুলি এখানে সেখানে, দরদর রক্তপাত। শক্ত হাতে মাটি আঁকড়ে রোখে ক্রমাগত হিংস্রতার স্বেচ্ছাচার, দাঁড়বার জায়গা খোঁজে, উদ্ভাসিত নতুন স্ট্বাটেজি... Read more
