মুছে যায় অপরূপ মেলা – শামসুর রাহমান আচানক মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যায়। মনে হ’ল,- কিছু পদধ্বনি যে প্রবেশ করছে খুব কাছে। চেয়ে দেখি চারটি রুপালি কঠোর, নিষ্ঠুর পদযুগ। সেগুলোর অধিকারী রয়েছে তাকিয়ে এই ভ্যাবাচ্যাকা-খাওয়া লোকটির দিকে, যেন ওরা তাকে এক্ষুনি... Read more
মিলনের মুখ – শামসুর রাহমান গুলিবিদ্ধ শহর করছে অশ্রুপাত অবিরত, কেননা মিলন নেই। দিন দুপুরেই নরকের শিকারী কুকুর তার বুকে বসিয়েছে দাঁত, বড় নিঝুম স্থাপত্য আজ মিলনের প্রতিবাদী মুখ। মিছিলে আসার আগে মায়ের স্নেহের ছায়া থেকে তাড়াতাড়ি সরে এসে, স্ত্রীর... Read more
মাস্টারদার হাতঘড়ি – শামসুর রাহমান মাস্টারদা, আপনি কি হাতঘড়ি পরতেন কখনো, এই প্রশ্ন আমাকে ঠোকর মেরেছে অনেকবার মাস্টারদা, আপনার বিষয়ে অনেক কিছু জানা আছে আমার। আপনার শরীরের গড়ন, মূল্যবান রত্নের মতো চোখের দীপ্তি, জীবন-যাপনের ধরন-একরম বহুবিধ খুঁটিনাটির আলো আমি পেয়েছি... Read more
মায়ের চোখে – শামসুর রাহমান আমার খোকন গাঢ় দুপুরে ঘুমাত, ঘুমাবার করত ভান আমার বালিশে, বুকে আর ‘গল্প বলো…কড়ির পাহাড়, শঙ্খমালা’, বলত গ্রীষ্মের দুপুরে কাঁচা আম কত জলছবি হাতে, জাহাজের বাঁশি বাজাত নকল সুরে। ওঁর চশমা চোখে টুপি পরে দেখা... Read more
মানুষের মতো – শামসুর রাহমান ইদানীং মানুষের মতো কিছু বাঁদর দেখেছি, অবিকল বাঁদরের মতো কিছু বিহ্বল মানুষ। বাহিরকে করে ঘর ওরা আর ঘরকে বাহির; রাজপথে, ফুটপাতে, বাস টার্মিনালে, ঘাসময় পার্কে আর সিনেমায় জমকালো বাঁদরের ভিড় দেখে করতালি দিতে সাধ জাগে।... Read more
