শ্যামল ঘন বকুলবন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্যামল ঘন বকুলবন- ছায়ে ছায়ে যেন কী সুর বাজে মধুর পায়ে পায়ে। (স্ফুলিঙ্গ) Read more
শ্বশুরবাড়ির গ্রাম – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্বশুরবাড়ির গ্রাম, নাম তার কুলকাঁটা, যেতে হবে উপেনের– চাই তাই চুল-ছাঁটা। নাপিত বললে, “কাঁচি খুঁজে যদি পাই বাঁচি– ক্ষুর আছে, একেবারে করে দেব মূল-ছাঁটা। জেনো বাবু, তাহলেই বেঁচে যায় ভুল-ছাঁটা।’ (খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থ) Read more
শেষপর্ব – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেথা দূর যৌবনের প্রান্তসীমা সেথা হতে শেষ অরুণিমা শীর্ণপ্রায় আজি দেখা যায়। সেথা হতে ভেসে আসে চৈত্রদিবসে দীর্ঘশ্বাসে অস্ফুট মর্মর কোকিলের ক্লান্ত স্বর, ক্ষীণস্রোত তটিনীর অলস কল্লোল,– রক্তে লাগে মৃদুমন্দ দোল। এ আবেশ মুক্ত হ’ক; ঘোরভাঙা... Read more
শেষদৃষ্টি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজি এ আঁখির শেষদৃষ্টির দিনে ফাগুনবেলার ফুলের খেলার দানগুলি লব চিনে। দেখা দিয়েছিল মুখর প্রহরে দিনের দুয়ার খুলি, তাদের আভায় আজি মিলে যায় রাঙা গোধূলির শেষতুলিকায় ক্ষণিকের রূপ-রচনলীলায় সন্ধ্যার রঙগুলি। যে অতিথিদেহে ভোরবেলাকার রূপ নিল ভৈরবী,... Read more
শেষ হিসাব – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চেনাশোনার সাঁঝবেলাতে শুনতে আমি চাই– পথে পথে চলার পালা লাগল কেমন, ভাই। দুর্গম পথ ছিল ঘরেই, বাইরে বিরাট পথ– তেপান্তরের মাঠ কোথা-বা, কোথা-বা পর্বত। কোথা-বা সে চড়াই উঁচু, কোথা-বা উতরাই, কোথা-বা পথ নাই। মাঝে-মাঝে জুটল... Read more
