মেছুয়াবাজার থেকে পালোয়ান চারজন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মেছুয়াবাজার থেকে পালোয়ান চারজন পরের ঘরেতে করে জঞ্জাল-মার্জন। ডালায় লাগিয়ে চাপ বাক্সো করেছে সাফ, হঠাৎ লাগালো গুঁতো পুলিসের সার্জন। কেঁদে বলে, “আমাদের নেই কোনো গার্জন, ভেবেছিনু হেথা হয় নৈশবিদ্যালয়– নিখর্চা জীবিকার বিদ্যা-উপার্জন।’ (খাপছাড়া... Read more
সর্দিকে সোজাসুজি সর্দি ব’লেই বুঝি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্দিকে সোজাসুজি সর্দি ব’লেই বুঝি মেডিকেল বিজ্ঞান না শিখে। ডাক্তার দেয় শিষ, টাকা নিয়ে পঁয়ত্রিশ ভাবনায় গেল ঘুম, ওষুধের লাগে ধুম, শঙ্কা লাগালো পারিভাষিকে। আমি পুরাতন পাপী, শুনেই কাঁপি, ডরিনেকো সাদাসিধে ফাঁসিকে।... Read more
সভাতলে ভুঁয়ে কাৎ হয়ে শুয়ে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সভাতলে ভুঁয়ে কাৎ হয়ে শুয়ে নাক ডাকাইছে সুল্তান, পাকা দাড়ি নেড়ে গলা দিয়ে ছেড়ে মন্ত্রী গাহিছে মূলতান। এত উৎসাহ দেখি গায়কের জেদ হল মনে সেনানায়কের– কোমরেতে এক ওড়না জড়িয়ে নেচে করে সভা... Read more
হাজারিবাগের ঝোপে হাজারটা হাই – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাজারিবাগের ঝোপে হাজারটা হাই তুলেছিল হাজারটা বাঘে, ময়মন্সিংহের মাসতুত ভাই গর্জি উঠিল তাই রাগে। খেঁকশেয়ালের দল শেয়ালদহর হাঁচি শুনে হেসে মরে অষ্টপ্রহর, হাতিবাগানের হাতি ছাড়িয়া শহর ভাগলপুরের দিকে ভাগে– গিরিডির গিরগিটি মস্ত-বহর পথ... Read more
হরপণ্ডিত বলে ব্যঞ্জন সন্ধি এ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হরপণ্ডিত বলে, “ব্যঞ্জন সন্ধি এ, পড়ো দেখি, মনুবাবা, একটুকু মন নিয়ে।’ মনোযোগহন্ত্রীর বেড়ি আর খন্তির ঝংকার মনে পড়ে; হেঁসেলের পন্থার ব্যঞ্জন-চিন্তায় অস্থির মন তার। থেকে থেকে জল পড়ে চক্ষুর কোণ দিয়ে। (খাপছাড়া... Read more
