প্যারাবল – শামসুর রাহমান নাড়েন সবল হাত ছুটে আসে নফরের দল তড়িঘড়ি চতুঃসীমা থেকে। তাঁর প্রবল নির্দেশে সমুদ্রে জাহাজ ভাসে, অবিরাম চাকা ঘোরে কল- কারখানায়, তৈরি হয় সেতু দিকে দিকে; দেশে দেশে নিমেষে জমান পাড়ি রাষ্ট্রদুতগণ, কারাগারে জমে ভিড়, সৈন্য... Read more
শৈশবের বাতি-অলা আমাকে – শামসুর রাহমান সর্বাঙ্গে আঁধার মেখে কো করছো এখানে খোকন? চিবুক ঠেকিয়ে হাতে, দৃষ্টি মেলে দূরে প্রতিক্ষণ কী ভাবছো বসে? হিজিবিজ়ি কী আঁকছো? মানসাঙ্ক কষে হিসেব নিচ্ছো? দেখছো কি কতটুকু খাদ কতটুকু খাঁটি এই প্রাত্যহিকে, ভাবছো নিছাদ... Read more
শেষে যা-ই হোক – শামসুর রাহমান আর কত দূরে নিয়ে যাবে বলো? আর কত পথ হেঁটে যেতে হবে? থামলেই যদি ঝোপঝাড় থেকে জাঁহাবাজ পশু লাফিয়ে শরীর টুঁটি চেপে ধরে, কী হবে আমার? নিরস্ত্র আমি, এমনকি হাতে অস্ত্র দিলেও কাউকে কখনও... Read more
শেষ চেয়ারের গদি ছেড়ে – শামসুর রাহমান যখন প্রথম দেখি সেই স্বল্পভাষী, প্রায় নিঝুম, নিঃশব্দ, কিছুতেই বুঝিনি অন্তরে তার উদ্দাম, বিদ্রোহী যুবক লুকানো ছিল। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই- বয়সে আমার চেয়ে বেশ ছোট হওয়া সত্ত্বেও ক্রমশ কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাকে... Read more
শেফার্স – শামসুর রাহমান কত দীর্ঘকাল আমি শেফার্স করি না ব্যবহার। ফলত হাতের লেখা, মনে হয়, ক্রমশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমার লেখার সুচিহ্নিত চরিত্র বদলে গেছে, বলা যায়। এরকম ক্রীড়া- পরায়ণ ধারণা আমার মনে সীলমোহরের স্পষ্ট ছাপ কেবলি বসাতে... Read more