চরণ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুখানি চরণ পড়ে ধরণীর গায়, দুখানি অলস রাঙা কোমল চরণ । শত বসন্তের স্মৃতি জাগিছে ধরায়, শতলক্ষ কুসুমের পরশস্বপন । শত বসন্তের যেন ফুটন্ত অশোক ঝরিয়া মিলিয়া গেছে দুটি রাঙা পায় । প্রভাতের প্রদোষের দুটি সূর্যলোক... Read more
চতুর্থ সর্গ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “এ তবে স্বপন শুধু, বিম্বের মতন আবার মিলায়ে গেল নিদ্রার সমুদ্রে! সারারাত নিদ্রার করিনু আরাধনা– যদি বা আইল নিদ্রা এ শ্রান্ত নয়নে, মরীচিকা দেখাইয়া গেল গো মিলায়ে! হা স্বপ্ন, কি শক্তি তোর, এ হেন মূরতি... Read more
চড়িভাতি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফল ধরেছে বটের ডালে ডালে; অফুরন্ত আতিথ্যে তার সকালে বৈকালে বনভোজনে পাখিরা সব আসছে ঝাঁকে ঝাঁক। মাঠের ধারে আমার ছিল চড়িভাতির ডাক। যে যার আপন ভাঁড়ার থেকে যা পেল যেইখানে মালমসলা নানারকম জুটিয়ে সবাই আনে। জাত-বেজাতের... Read more
ঘোষালের বক্তৃতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘোষালের বক্তৃতা করা কর্তব্যই, বেঞ্চি চৌকি আদি আছে সব দ্রব্যই। মাতৃভূমির লাগি পাড়া ঘুরে মরেছে, একশো টিকিট বিলি নিজ হাতে করেছে। চোখ বুজে ভাবে, বুঝি এল সব সভ্যই। চোখ চেয়ে দেখে, বাকি শুধু নিরেনব্বই। (খাপছাড়া... Read more
ঘুমের তত্ব – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাগার থেকে ঘুমোই , আবার ঘুমের থেকে জাগি — অনেক সময় ভাবি মনে কেন , কিসের লাগি ? আমাকে , মা , যখন তুমি ঘুম পাড়িয়ে রাখ তখন তুমি হারিয়ে গিয়ে তবু হারাও নাকো ।... Read more
