রোদ আর জ্যোৎস্নাধারা কাঁদে – শামসুর রাহমান কেন এই ভোরবেলা দু’চোখে আমার বস্তুত কিছুই ধরা পড়ছে না? কিছুকাল ধরে দৃষ্টি ঘুণে-ধরা সত্য, তবু অন্ধ তো হইনি আজও, তবে কেন ঘোর অমাবস্যা এমন পাথুরে পর্দা আজ ঝুলিয়ে দিয়েছে চারদিকে? এখন কোথায়... Read more
রেনেসাঁস – শামসুর রাহমান চকচকে তেজী এক ঘোড়ার মতোন রেনেসাঁস প্রবল ঝলসে ওঠে চেতনায়। ক্ষিপ্ত তরবারি, রৌদ্রস্নাত রণতরী, তরঙ্গে তরঙ্গে নৃত্যপর, জ্বলন্ত গমের ক্ষেত, আদিগন্ত কালো মহামারী, অলিন্দে রহস্যময়ী কেউ, দিকে দিকে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ অশ্বরোহী, মাঝিমাল্লা স্মৃতিতে ভাস্বর। জেল্লাদার ট্রফি,... Read more
রেডক্রসের গাড়ি এবং তুমি – শামসুর রাহমান রেডক্রসের গাড়ি ভয়ার্ত রাজহাঁসের মতো চিৎকার করতে করতে ছুটে গেল মধ্যাহ্নের প্রাখর্যকে কম্পমান পর্দা বানিয়ে। সেই গাড়িটার ভেতরে আশ্রয় পেলে আপাতত বেঁচে যেতাম। ভীষণ অসুস্থ আমি, শ্বাসরোধকারী আমার ব্যাধির কথা জানে নীলিমা, পাখির... Read more
রূপান্তর – শামসুর রাহমান চঞ্চলা নর্তকী নও, অথচ যখন হাঁটো কিংবা ছুটে যাও, বর্ষার বৃষ্টির পরে রামধনু উঠলে আকাশে, বারান্দায়, চলায় সহজে লাগে ছন্দের বিদ্যুৎ। যখন আয়নার সামনে লিপস্টিক মাখো ঠোঁটে, হাই-হিল জুতো পায়ে সিঁড়ি বেয়ে নামো, হাতে বই, বুকের... Read more
রূপকথা – শামসুর রাহমান আজব দেশের ধন্য রাজা দেশজোড়া তার নাম। বসলে বলে ‘হাঁটরে তোরা’, চললে বলেন, ‘থাম’। রাজ্যে ছিল সান্ত্রী-সিপাই মন্ত্রী কয়েক জোড়া। হাতিশালে হাতি ছিল ঘোড়াশালে ঘোড়া। গাছের ডালে শুক সারীদের গল্প ছিল কতো, গল্পে তাদের রাজার কথা... Read more
