শকুন্তলা – শামসুর রাহমান শকুন্তলা নও, পতিগৃহেও যাচ্ছো না, তবু দেখি আশ্রমের নয়, শহরের বাগানের চারাগাছ তোমার আঁচল জোরে জড়িয়ে ধরেছে, পাতা নাচ কখন দিয়েছি জুড়ে প্রতিবাদে; ধরন সাবেকি। তোমার যাবার আগে বাঁধা দিতে পারছি না, আছি বিষণ্ন, নিশ্চুপ, তুমি... Read more
শকুন ও কোকিলের কাহিনী – শামসুর রাহমান প্রবহমান নদীতীরে একটি নয়নাভিরাম বৃক্ষ নানাজনের হিংসার পাত্র হয়ে মেরুদণ্ড সোজা রেখে দাঁড়িয়ে ছিলো। গাছটিতে এক ঝাঁক কোকিল মহানন্দে করতো বাস। ওদের গানের সুরে পার্শ্ববর্তী নদীর ঢেউ উঠতো নেচে প্রায়শই। সহসা একদিন কোত্থেকে... Read more
লোকটার কাহিনী – শামসুর রাহমান একজন লোক, যার চালচুলো নেই, ঝরে গ্যাছে ফুটো পকেটের বিবর্ণ মানি ব্যাগের মতো যার সংসার যে স্বপ্নের ভগ্নাংশ কুড়োতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় বারংবার, ট্রাফিক-অরণ্যে পরীর আর্তনাদ শুনতে শুনতে, পালাতে পালাতে অবসন্ন সন্ধ্যার... Read more
লোকটা বুড়োই বটে – শামসুর রাহমান লোকটা বুড়োই বটে, অতিশয় স্মৃতিভারাতুর। স্মৃতিমোহে সে একাকী সন্ধ্যায় কবরে দীপ জ্বালে কোনো কোনো দিন খামখেয়ালের আঁকাবাঁকা খালে প্রায়শ ভ্রমণ করে কাটে তার বেলা। মদে চুর (খাঁটি দেশী) প্রতিরাতে, ক্লান্ত মনে তার দেয় হানা... Read more
লোকগুলোর কী হয়েছে – শামসুর রাহমান লোকগুলোর কী হয়েছে বলোতো মুখে কুচকুচে অথবা ধবধবে দাড়ি দেখলেই অথর্ব মোল্লা ঠাউরে নেয় আর উশকো খুশকো চুল ময়লা ট্রাউজার হলুদ উদাসীনতা-ছাওয়া চোখ দেখলেই ছন্নছাড়া পদ্যলিখিয়ে কী যে বোঝাতে চায় এই নিদ্রাচারীরা ওরা নিজেরাই... Read more
